জেরাল্ড অ্যাপেল ১৯৭৯ সালে প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের নির্দেশক মুভিং এভারেজ কনভারজেন্স/ডাইভারজেন্স (MACD) তৈরি করেন। প্রথমদিকে এটাকে কমোডিটি এবং স্টক লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হত। নির্দেশকটির বর্তমান সংস্করণ হলো MACD হিস্টোগ্রাম এবং ক্লাসিক নির্দেশকের সমন্বয়, যার মধ্যে একটি MACD লাইন ও একটি সংকেত লাইন থাকে।
সূত্র
MACD = (ЕМАs(P) - EMAl(P)),
Signal = SМАa(ЕМАs(P) - EMAl(P)), যেখানে
ЕМАl(P) হলো লং-টার্ম এক্সপোনেনশিয়াল মুভিং এভারেজ;
EMAs(P) হলো শর্ট-টার্ম এক্সপোনেনশিয়াল মুভিং এভারেজ;
SМАa(P) হলো শর্ট-টার্ম সিম্পল মুভিং এভারেজ;
P হলো ক্লোজিং প্রাইস
লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যবহার
প্রবণতা ভিত্তিক বা ফ্লাট যেকোনো মার্কেটে স্পষ্ট সংকেতের জন্য MACD হলো সেরা মার্কেট অসসিলেটর। স্টকাস্টিক অসসিলেটরের সাথে তুলনা করলে বলা যায়, স্টকাস্টিক অসসিলেটর শুধু সাইডওয়ে মুভমেন্টের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়, কিন্তু MACD বহুমুখী।
যখন সংকেত লাইন MACD লাইন অতিক্রম করে, তখন MACD সংকেত প্রদান করে।
সংকেত লাইন (লাল লাইন) যদি MACD লাইন (নীল লাইন) অতিক্রম করে উপরে ওঠে, তাহলে এটা লং পজিশন খোলার সংকেত। প্রবণতা স্পষ্ট থাকলে, সংকেত লাইন MACD লাইনকে অতিক্রম করে নিচে নামলে লেনদেন বন্ধ করা উচিত।
সংকেত লাইন (লাল লাইন) MACD লাইনের (নীল লাইন) লাইনের নিচে নামলে বুঝতে হবে এটা শর্ট পজিশন খোলার সংকেত। প্রবণতা স্পষ্ট থাকলে, সংকেত লাইন MACD লাইনের উপরে উঠলে লেনদেন বন্ধ করতে হবে।
সংকেত লাইন ও হিস্টোগ্রাম বারের সর্বোচ্চ বিন্দুর ভিত্তিতে FullMACD ডাইভারজেন্স ও কনভারজেন্স এর স্পষ্ট চিত্র প্রদর্শন করে।
হিস্টোগ্রামের রং চলমান প্রবণতাকে প্রদর্শন করে: লাল বার দ্বারা বিয়ারিশ মুভমেন্টকে নির্দেশ করা হয়, অন্যদিকে নীল বারের মাধ্যমে বুলিশ মুভমেন্ট প্রদর্শিত হয়। সুতরাং, বার এর রং নীল থেকে লাল, বা লাল থেকে নীল হওয়াটা গুরুত্ব বহন করে। FullMACD নির্দেশকে হিস্টোগ্রাম যখন জিরো লাইন অতিক্রম করে তখন বুঝতে হবে মিড-টার্ম প্রবণতা বিপরীত দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
ইন্সটাফরেক্স FullMACD পরিমিতি
Fast_MA_Period = 12
Slow_MA_Period = 26
Signal_MA_Period = 9