২০০৬ সালে ল্যারি উইলিয়াম 'রেঞ্জ রাইডার' নির্দেশক তৈরি করেন। এটা ভোলাটিলিটি পরিমাপ করার নির্দেশকগুলোর মধ্যে একটি। এর সাহায্যে সহজেই গুরুত্বপূর্ণ প্রাইস জোনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়, যে জোনগুলো ঝুঁকির দিক থেকে বিবেচনা করলে লেনদেন খোলার জন্য সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত।
সূত্র
রেঞ্জ রাইডার = মুভিংএভারেজ (ট্রু রেঞ্জ, ২) / (মুভিংএভারেজ (ট্রু রেঞ্জ, ৭)) * ১০০
লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যবহার
প্রযুক্তিগত নির্দেশক 'রেঞ্জ রাইডার' হল মার্কেট ভোলাটিলিটি পরিমাপ করার একটি উপকরণ। কিন্তু এর মান প্রাইস মুভমেন্টের শক্তিমত্তার উপর ভিত্তি করে হিসাব করা হয় না। এর মান হিসাব করা হয় একটি ভোলাটিলিটি লেভেলকে (২-দিন এটিআর) অন্য একটি ভোলাটিলিটি লেভেল (৭-দিন এটিআর) দ্বারা ভাগ করে। ভাগফল হল 'রেঞ্জ রাইডার' নির্দেশকের মান, যা ক্রমশ শক্তিশালী অথবা দুর্বল হয়ে যাওয়া ভোলাটিলিটিকে নির্দেশ করে; এটা সবচেয়ে বড় সময়সীমার উপর সবচেয়ে ছোট সময়সীমার প্রভাবকে বিবেচনায় নেয়।
'রেঞ্জ রাইডার' নির্দেশক ব্যবহারের ক্ষেত্রে, যে ট্রেডিং প্রিয়ডগুলোতে নির্দেশটির মান হ্রাস পায় সেগুলো গুরুত্বপূর্ণ ট্রেডিং প্রিয়ড। এই হ্রাস পাওয়া মানগুলো ভোলাটিলিটি দুর্বল হওয়াকে নির্দেশ করে। তাই, প্রাইস মুভমেন্টের বল কমে যাওয়ার পর, এটা আবার ভরবেগ লাভ করবে এবং এর ফলে 'রেঞ্জ রাইডার' নির্দেশকের মান বৃদ্ধি পাবে। 'রেঞ্জ রাইডার' নির্দেশকের মান কম রয়েছে এমন অঞ্চলগুলো বাজারে প্রবেশের জন্য আদর্শ; ভোলাটিলিটি কমে গেলে, প্রাইস রিভার্সাল হয় অথবা মূল্য সংশোধন সম্পন্ন হয় এবং তারপর প্রাইস মুভমেন্ট আবার একই দিকে ফিরে আসে। 'রেঞ্জ রাইডার' মানের এই নিন্ম অবস্থানকে, ক্রয় ও বিক্রয় লেনদেন করার জন্য সফলভাবে ব্যবহার করা যাবে।
নির্দেশকটির নির্মাতা ল্যারি উইলিয়ামের মতে, ক্লোজিং মূল্য যখন দিনের হাই (অথবা নিন্মমুখী প্রবণতার ক্ষেত্রে দিনের লো) এর সমান অথবা কাছাকাছি থাকে, তখন ট্রেডিং দিনের প্রতি মনোযোগী হওয়া জরুরী। এমন পরিস্থিতিতে 'রেঞ্জ রাইডার' নির্দেশকের দেওয়া তথ্য সতর্কতার সাথে পরীক্ষা করা উচিত; যদি নির্দেশকের মান বেশি থাকে (মূল্য বৃদ্ধি পাওয়া অথবা কমে যাওয়ার মধ্যে) এবং ট্রেডিং সেশন হাই অথবা লো লেভেলে শেষ হয়, তাহলে পরবর্তী সেশনে অথবা আসন্ন কয়েকটি ট্রেডিং দিনগুলোর মধ্যে প্রাইস রিভার্সাল ঘটতে পারে।
ইন্সটাফরেক্স রেঞ্জ রাইডার নির্দেশকের পরিমিতি
এটিআরপ্রিয়ড১ = ২
এটিআরপ্রিয়ড২ = ৭